আবারো ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি থেকে নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবেন। ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কক্সবাজার যেহেতু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলা সেহেতু ভোটার তালিকা হালনাগাদে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। নির্বাচন কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে আলাদা নির্দেশনা দিয়েছেন।
কক্সবাজারের নয়টি উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়ার পর প্রশিক্ষণ চলছে। নয়টি উপজেলায় আলাদা আলাদা করে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জেলায় ৭৩২ জন তথ্য সংগ্রহকারী, ১৭৪ জন সুপারভাইজার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরিত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রে উক্ত তথ্য জানা গেছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মতো কক্সবাজারে ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়াও আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবারের হালনাগাদে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে নয় উপজেলায় ৯০৬ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৭৩২ জন হচ্ছে তথ্য সংগ্রহকারী এবং ১৭৪ জন সুপারভাইজার। তাদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নয়টি উপজেলার প্রতিটি টিমে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন। এছাড়াও প্রশিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারের পরিসংখ্যান হলো- মহেশখালী উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ১১৫ জন, সুপারভাইজার ২৩ জন। চকরিয়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ১৫০ জন এবং সুপারভাইজার ৩৫ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৫৪ জন সুপারভাইজার ১৬ জন। রামু উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৮৩ জন, সুপারভাইজার ১৮ জন। ঈদগাঁও উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৪৬ জন, সুপারভাইজার ১১ জন। সদর উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৮৫ জন সুপারভাইজার ২৭ জন। টেকনাফ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৭৯ জন সুপারভাইজার ১৮ জন। উখিয়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৬২ জন এবং সুপারভাইজার ১৪ জন। পেকুয়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারী ৫৮ জন এবং সুপারভাইজার ১২ জনসহ জেলায় মোট তথ্য সংগ্রহকারী ৭৩২ জন এবং সুপারভাইজার ১৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা মিশ্রিত এলাকা হওয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণে বিশেষ সর্তকতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভিনদেশী কোন নাগরিক যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেই বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ১৭টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত